সহায়ক প্রযুক্তি
সহায়ক প্রযুক্তি বললে সহায়ক উপকরণ ও সংশ্লিষ্ট সেবাগুলোকে একত্রিতভাবে বোঝায়। এই ধরনের প্রযুক্তির মধ্যে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়ক এবং পুনর্বাসনমূলক উপকরণ রয়েছে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ও প্রবীণ মানুষ এবং অন্যদের আত্মনির্ভরশীল ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে সহায়তা করে। তারা এই ধরনের উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের প্রাত্যহিক জীবনের দরকারি কাজগুলো করে থাকেন। যেমন, ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাড়িতে করার দরকার হয় দিনের এমন রুটিন কাজ, চলাফেরা করা, স্কুল ও কাজে যাওয়া, ঘরের রক্ষণাবেক্ষণ করা, সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকেন।
সহায়ক প্রযুক্তির পরিধি অনেক বড় ও বিস্তৃত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: হুইলচেয়ার, ক্রাচ, সাদা ছড়ি, কমপিউটারের মনিটর বা স্ক্রীণ রিডার/পড়ার যন্ত্র, শ্রবণযন্ত্র (হিয়ারিং এইড বা কোক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট), চশমা বা আতশ কাঁচ (ম্যাগনিফাইয়িং উপকরণ) ইত্যাদি। এছাড়াও নিত্য ব্যবহার্য উপকরণগুলোকে প্রয়োজনানুযায়ী পরিবর্তন করে সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেমন: বাড়িতে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের পরিবর্তন এবং চলাচলের গাড়ি, রিকশা, সাইকেলে পরিবর্তন করা ইত্যাদি। নিচের ছবিগুলোতে কিছু সহায়ক উপকরণ দেখানো হলো। কোন একটি প্রকল্পের অধীনে সহায়ক উপকরণের তালিকা চূড়ান্ত করার পর দেখতে হবে কোন কোন উপকরণগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি করা সম্ভব এবং কোনগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হবে। তবে স্থানীয়ভাবে উপকরণ তৈরি ও কেনা উভয় ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। কিছু সংস্থার প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কাজের সুস্পষ্ট ও শক্তিশালী অঙ্গীকার রয়েছে।